শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
বরগুনায় হৃদয় হত্যায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত হৃদয়ের মা মোসা. ফিরোজা বেগম।
রাত ১১টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন।
তিনি বলেন, নিহত হৃদয়ের ওপর হামলার ঘটনার পরই আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করি। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আটক হওয়া সাতজনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ জনকে।
শাহজাহান হোসেন বলেন, মামলা দায়ের করার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা যাদের আটক করেছি তাদের নাম মামলায় উল্লেখ থাকায় এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
এছাড়া এ মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এ মামলায় অভিযুক্তদের আমরা এখনও গ্রেফতার করতে পারিনি তাই তাদের নাম আমরা এখনই প্রকাশ করছি না।
বরগুনা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া এ সাতজন হলেন- এ মামলার এক নম্বর আসামি নোমান কাজী (১৮), দুই নম্বর আসামি হেলাল মৃধা (২৬), ছয় নম্বর আসামি সাগর গাজী (১৬), সাত নম্বর আসামি ইমন হাওলাদার (১৮), আট নম্বর আসামি রানা আকন (১৬), ১২ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম ঘরামি (১৫) ও ১৫ নম্বর আসামি হেলাল ফকির (২১)।
এর আগে ঈদের দিন সোমবার (২৫ মে) বিকেলে বরগুনার পায়রা নদীর পাড়ে গোলবুনিয়া বল্ক ইয়ার্ডে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যায় হৃদয়। এসময় পূর্বশত্রুতার পাশাপাশি হৃদয়ের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে অভিযুক্তরা উত্ত্যক্ত করলে হৃদয় প্রতিবাদ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে অভিযুক্তরা হৃদয়সহ তার কয়েক বন্ধুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলেও গুরুতর আহত হৃদয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: **বরগুনায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে কিশোর হত্যা!